জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যার্টফর্ম টিকটক আমেরিকায় নিষিদ্ধ হচ্ছে। এই চীনা অ্যাপের বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের ওপর নজরদারির অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে রিপাবলিকান মার্কো রুবিও, তার সহকর্মী মাইক গ্যালাঘের এবং ডেমোক্র্যাট রাজা কৃষ্ণমূর্তি টিকটিক নিষিদ্ধ করার আইন পাসের প্রস্তাব দিয়েছেন। এই আইনের অধীনে চীন ও রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা যেকোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হবে।
এক বিবৃতিতে রুবিও জানিয়েছেন, ভালোর জন্য বেইজিংয়ের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত টিকটক নিষিদ্ধ করার এটাই সঠিক সময়। বাইডেন প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুলে তিনি বলেন, টিকটক থেকে মার্কিন ব্যবহারকারীদের সুরক্ষিত করতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরেই টিকটক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের বিরুদ্ধে বেইজিং সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার অভিযোগ উঠছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীনা টেক সংস্থাটি।
২০২০ সালেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিল চীনা সংস্থাটি। পরে আদালতের সিদ্ধান্তে সেই দেশে নিষিদ্ধ করার সম্ভব হয়নি টিকটক।
এদিকে মার্কিন অভিযোগের বিরুদ্ধে টিকটকের পক্ষে জানানো হয়েছে কোনও মার্কিন ব্যবহারকারীরে তথ্য চীন সরকারের সঙ্গে শেয়ার করা হয় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সুরক্ষা দল ঠিক করে মার্কিন ব্যবহারকারীদের কোন তথ্য চীন থেকে কে দেখতে পাবেন।
মার্কিন প্রশাসনের এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করার নয়া উদ্যোগের তীব্র প্রতিবাদ করেছে টিকটক। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলা হয়েছে।
টিকটক বলছে, ‘কিছু কংগ্রেস সদস্য রাজনৈতিক কারণে টিকটক নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুরক্ষায় কোনও উন্নতি করবে না।’
এদিকে জাতীয় সুরক্ষার কারণে সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আলাবামা ও উটাহ প্রদেশে নিষিদ্ধ হয়েছে টিকটক। সেখানে সব রাজ্য সরকারি ডিভাইস ও কম্পিউটার নেটওয়ার্কে চীনা শর্ট ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
The post নিষিদ্ধ হচ্ছে টিকটক appeared first on Techzoom.TV.
0 Comments