২০২২ সালের সেরা গেমিং ফোন

সময়ের সাথে সাথে স্মার্টফোনে গেমিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই সাথে বেড়েছে গেমিং ফোনের চাহিদা। বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে স্মার্টফোনে ক্যাজুয়াল গেমের পাশাপাশি কনসোল কোয়ালিটির গেমেও খেলা সম্ভব। গেমিং ফোন মূলত রিফ্রেশ রেট, স্কিন সাইজ, গেমিং মোড, প্রসেসর, কুলিং সিস্টেম আরও অনেক কিছুর উপর ফোকাস করে তৈরি হয়। ২০২২ সালের সেরা গেমিং ফোনের তালিকা প্রকাশ করেছে চীনের প্রযুক্তি সংবাদমাধ্যম গিজমোচিনা।

আসুস আরওজি ফোন ৬
গেমিং ফোনের কথা উঠলে সবার আগে নাম আসে আসুস আরওজি ফোন ৬ এর। একজন মোবাইল গেমারের যা যা দরকার তার সবাই ফাইভজি সমর্থিত এই ফোনে রয়েছে। আসুসের এই ফোনটিতে রয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ভিক্টাসের সঙ্গে ২.৫ডি কার্ভড গ্লাস। ফোনের পেছনে থাকছে সেকেন্ডারি পি-মোলেড ডিসপ্লে, যা কাস্টমাইজ করা যায়। ডিভাইসে র‍্যামের দুইটি ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে ১২ জিবি এবং ১৮ জিবি। স্ন্যাপড্রাগন ৮ প্লাস জেন ১ চিপসেট চালিত এই ফোনে রয়েছে ৫১২ জিবি ইন্টার্নাল স্টোরেজ। ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা কমাতে সক্ষম এতে থাকা নতুন কুলিং সিস্টেম।

ফোনে রয়েছে তিন ক্যামেরা সেটআপ। ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সনি আইএমএক্স৭৬৬ সেন্সর, একটি ১৩ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল সেন্সর এবং একটি ৫ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো সেন্সর। সেলফির জন্য রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য রয়েছে ৬ হাজার এমএএইচ ব্যাটারি, যা ৬৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টেট।

রেড ম্যাজিক ৭এস
আসুস আরওজি সিরিজের মতোই রেড ম্যাজিক ৭এস গেমারদের ফোন। ডিভাইসটিতে রয়েছে আরজিবি টার্বো ফ্যান, যা ডিভাইসের অভ্যন্তরীণ ঠাণ্ডা করার জন্য ব্যবহার হয়। পাশাপাশি থাকছে ভেন্টসহ একটি ডেডিকেটেড কুলিং ফ্যান, দীর্ঘ সময় গেম খেললেও তাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

এতে থাকছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট ১৬৫ হার্টজ। এতে থাকছে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ চিপসেট। ১৬ জিবি র‌্যামের এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ৫১২ জিবি স্টোরেজ।

রেড ম্যাজিক ৭এস
দীর্ঘ সময় ফোনটিকে ঠাণ্ডা রাখতে এতে ব্যবহার করা হয়েছে আইস ৯.০ লিকুইড-কুলিং প্রযুক্তি। ফোনের ব্যাক প্যানেলে রয়েছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ। ৬৪ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেল ওয়াইড-এঙ্গেল লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো সেন্সের। সেলফি এবং ভিডিও কলিংয়ের জন্য রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল আন্ডার-ডিসপ্লে ক্যামেরা। পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য এই গেমিং ফোনে ১২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টসহ ৪,৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে।

আইফোন ১৪
অ্যাপলের আইফোন ১৪ বাজারে আসা অপ্টিমাইজ করা ফোনের মধ্যে একটি। তাই গেমাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই ফোন। ৫.৪ ইঞ্চি ডিসপ্লের এই ফোনে রয়েছে টাইটানিয়ামের ফ্রেম। রয়েছে একটি বাস্পীয় চেম্বার থার্মাল সিস্টেম যা আইফোনে দ্রুতগতির চিপ এবং ৫জি কানেক্টিভিটির কারণে তৈরি হওয়া তাপকে কমিয়ে আনে। ফিজিক্যাল সিম স্লট বদলে ব্যবহার করা হয় ই-সিম স্লট। অ্যাপলের নিজস্ব দ্রুতগতির চিপ এ১৫ ও এ১৬ ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনে থাকছে দ্রুতগতির ১০-গিগাবিট ৫জি মডেম যার রয়েছে দ্রুতগতির কানেক্টিভিটি স্পিড।

প্রত্যেকটা নতুন আইফোনের ক্যামেরাতে থাকে পরিবর্তন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরাতে নতুন ইমপ্রুভমেন্ট রয়েছে। আইফোন প্রো মডেলগুলোতে রয়েছে ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং ৮কে ভিডিও রেকর্ডিং সুবিধা।

The post ২০২২ সালের সেরা গেমিং ফোন appeared first on Techzoom.TV.

Post a Comment

0 Comments