মহাকাশযাত্রায় নাম লেখাল আরব বিশ্ব। আরব আমিরাতের তৈরি মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে চাঁদের উদ্দেশ্যে। রশিদ রোভার নামে ওই মহাকাশ যান চাঁদের বুকে নেমে তুলে আনবে মাটি। যা পরে গবেষণার কাজে লাগানো হবে। খবর সিএনএন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানেভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে স্থানীয় সময় রোববার (১১ ডিসেম্বর) রশিদ রোভারটি নিয়ে চাঁদের পানে যাত্রা করে স্পেসএক্স ফ্যালকন-৯ রকেট।
আরব আমিরাতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র দুবাইয়ের মোহাম্মদ বিন রাশিদ স্পেস সেন্টারে (এমবিএরআসসি) রোভারটি তৈরি করা হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে চেষ্টা চালিয়ে একেবারে নিজস্ব প্রযুক্তিতে মাত্র ১০ কেজি ওজনের চার চাকার চন্দ্রযানটি তৈরি করতে সক্ষম হয় আমিরাতি টিম।
আমিরাতের সাবেক শাসক শেখ রশিদ আল সাইদের নামানুসারে চন্দ্রযানটির নাম রাখা হয় রশিদ রোভার।
জাপানের চন্দ্র গবেষণা কোম্পানি আইস্পেস-এর ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তর হাকুতু-আর ল্যান্ডারের তত্ত্বাবধানে রোভারটি চাঁদের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।
রশিদ রোভার আগামী ২০২৩ সালের এপ্রিলে চাঁদের বুকে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে। রোভারটি চাঁদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অ্যাটলাস ক্রেটারে অবতরণ করবে।
অবতরণের চাঁদের ভূপৃষ্ঠ ছুঁয়ে এক চন্দ্রদিবস (পৃথিবীর প্রায় ১৫দিন) ওই জায়গাতেই অবস্থান করবে রশিদ রোভার।
এ সময় রোভারটি চাঁদের রাতের আবহাওয়ায় খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। ওই সময়টিতে চাঁদের বুকে রাতের বেলার তাপমাত্রা মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে।
সহনীয় হয়ে গেলে রোভারটি আরেক চন্দ্রদিবস সেখানে ঘুরে বেড়াবে। দ্বিতীয় চন্দ্রদিবসে চাঁদের মাটির প্লাজমা পরীক্ষানিরীক্ষা চালাবে রোভারটি।
এ ব্যাপারে আমিরাতি চন্দ্র মিশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার হামাদ আল মারজুকি বলেন, আমাদের টিম নিজেরাই রোভারের ডিজাইন করেছে। এই চন্দ্রাভিযান আমাদের সাহস জুগিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ছোট থেকে শুরু করলাম। ভবিষ্যতে আমাদের মঙ্গলগ্রহ মিশন পরিকল্পনায় রয়েছে। ২১১৭ সালের দিকে মঙ্গলে মানুষ পাঠাবে আরব আমিরাত।
The post চাঁদে যাচ্ছে আরব আমিরাতের মহাকাশযান appeared first on Techzoom.TV.
0 Comments