প্রযুক্তি শুধু চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে রচনা লেখা কিংবা পরীক্ষার আগে ইউটিউব ভিডিও দেখার চেয়ে অনেক বেশি কিছু দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও প্রযুক্তি ও গ্যাজেটকে অনেক সময় বিভ্রান্তি হিসেবে দেখা হয়, তবে এগুলো আসলে শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি আশীর্বাদ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষ করে করোনা মহামারীর পর। বর্তমান যুগে একজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রজেক্ট, প্রেজেন্টেশন তৈরিতে কোনো না কোনোভাবে কিছুটা হলেও প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিও তাদের গ্যাজেটে বিভিন্ন একাডেমিক টুল যুক্ত করছে। প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট স্ল্যাশ গিয়ার এমন পাঁচটি গ্যাজেটের কথা জানিয়েছে, যা কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উপকারী হতে পারে।
ট্যাবলেট
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের তথ্যানুযায়ী, স্কুল শিক্ষার্থীদের বহন করা ব্যাকপ্যাকের ওজন তাদের শরীরের ওজনের ১০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। পাঠ্যপুস্তক ভর্তি ব্যাগ নিয়ে যে শিক্ষার্থী পঞ্চম তলায় সিঁড়ি বেয়ে উঠে ক্লাস করতে যায়, তার জন্য এটা খুব একটা সুখকর বিষয় নয়। এমন অবস্থায় সেরা বিকল্প হতে পারে ট্যাবলেট, যেমন আইপ্যাড এয়ার। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কোর্সের জন্য আলাদা নোটবুক বহনের পরিবর্তে শুধু একটি ট্যাবলেট ব্যাগে রাখা যায়। সহজে বহনযোগ্য হওয়া ছাড়াও ডিজিটাল পদ্ধতির সুবিধা হলো, এটি একাডেমিক যাত্রার শেষে সব নোট ও অ্যাসাইনমেন্ট একক ডিভাইসে সংরক্ষিত রাখবে।
স্টাইলাস ও অয়্যারলেস কি-বোর্ড
পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ট্যাবলেট ব্যবহার করলে ডিভাইসটির সুবিধা পুরোপুরি নেয়ার জন্য একটি স্টাইলাস (যেমন আইপ্যাডের জন্য অ্যাপল পেনসিল) প্রয়োজন হবে। এছাড়া যারা নোট টাইপ করতে পছন্দ করেন কিংবা যদি কোনো কোর্সের ক্লাসে বসে বড় প্রবন্ধ ও অ্যাসাইনমেন্ট লেখার প্রয়োজন হয়, তাহলে একটি অয়্যারলেস ব্লুটুথ কি-বোর্ড সঙ্গে রাখতে পারেন।
নয়েজ ক্যানসেলেশন ইয়ারবাড বা হেডফোন
ছাত্রজীবনে কখনো কখনো কোলাহল খুবই অতিরিক্ত মনে হতে পারে, বিশেষ করে পড়াশোনার সময়। জনবহুল পরিবেশের হইচই কিংবা হোস্টেলে রুমমেটের উচ্চস্বরে ফোনে কথা বলার কারণে একাডেমিক কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই কাজের সময় মনোযোগ ধরে রাখতে নয়েজ ক্যানসেলেশন ফিচারযুক্ত একটি ইয়ারবাড বা হেডফোন হতে পারে আদর্শ বিকল্প।
ই-রিডার
ট্যাবলেট ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ পেপারলেস বা কাগজহীন হতে সাহায্য করতে পারে, তবে এসব ডিভাইসের দামও বেশি হয়। এছাড়া কারো যদি হাতে লিখে নোট নেয়ার অভ্যাস থাকে বা এরই মধ্যে একটি ল্যাপটপ থাকে, তাহলে ট্যাবলেটের খুব একটা প্রয়োজন নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে বই ও নথিপত্র পড়ার জন্য ই-রিডার বেশ সহায়ক, বিশেষ করে যেসব কোর্সে অনেক বেশি বই পড়ার প্রয়োজন হয়। ই-রিডারে টেক্সট হাইলাইট করার ও বিজ্ঞপ্তি ছাড়া পড়ার সুবিধা রয়েছে। ডিভাইসগুলো হালকা ও বহনযোগ্য হওয়ায় সহজেই সঙ্গে নিয়ে চলাফেরা করা যায়।
পাওয়ার ব্যাংক
অনেক শিক্ষার্থী কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের দিনের অর্ধেক সময় কাটিয়ে দেন। সেই সঙ্গে অনেকটা সময় যাতায়াতের মধ্যে থাকতে হয়। এ অবস্থায় ডিভাইসগুলো চার্জ দেয়ার উপযুক্ত জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন হতে পারে। এছাড়া বিদ্যুৎবিভ্রাট বা জরুরি মুহূর্তে ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য সবসময় একটি পোর্টেবল পাওয়ার ব্যাংক রাখা জরুরি। বেশির ভাগ পাওয়ার ব্যাংক ডিভাইসকে একদিনে একাধিকবার চার্জ করতে সক্ষম, যা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই উপকারী।
The post শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় পাঁচ ডিভাইস appeared first on Techzoom.TV.
0 Comments