২০২৫ পঞ্জিকাবর্ষের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা (এমইএ) অঞ্চলের স্মার্টফোনের বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে ৩ শতাংশ। এ নিয়ে টানা দুই প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির দেখা পেল এমইএ অঞ্চলের স্মার্টফোন বাজার। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রির্সাচের তথ্য অনুযায়ী, ঈদুল আজহার সময়ে বিক্রি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ৫জি সংযোগ বৃদ্ধি এমইএ অঞ্চলের স্মার্টফোন বাজারের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
কাউন্টারপয়েন্টের তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে এমইএ অঞ্চলে স্মার্টফোনের গড় বিক্রিমূল্য (এএসপি) ৭ শতাংশ বেড়েছে। অঞ্চলটিতে ছোট ব্র্যান্ডগুলো টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে। আর বড় ব্র্যান্ডগুলো বিশেষ পণ্য ও কৌশল দিয়ে তাদের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করছে। এ সময়ে অঞ্চলটিতে চীনা ব্র্যান্ডগুলোর সম্মিলিত বাজার হিস্যা ছিল ৫৯ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের চাহিদা এখন বিভিন্ন মূল্যসীমার ডিভাইসের দিকে সরে আসছে। যেখানে ১০০ ডলারের নিচে বাজেট অংশের ফোনের সরবরাহ ও সহজলভ্যতা বেড়েছে, সেখানে ২০০-২৯৯ ডলারের অংশটি সংকুচিত হয়েছে। কারণ ক্রেতারা হয় আরো কম মূল্যের ফোন কিনছেন অথবা উচ্চ মূল্যের ভালো ডিভাইসের দিকে ঝুঁকছেন।
বর্তমানে ব্যবহারকারীরা এআইয়ের সাহায্যে অনুবাদ, ৫জি কানেক্টিভিটি, শক্তিশালী চিপসেট, উন্নত ক্যামেরা ও ফাস্ট চার্জিংয়ের মতো ফিচারযুক্ত ডিভাইসের প্রতি বেশি আগ্রহী। এতে ৫জি ফোনের বাজার হিস্যা গত প্রান্তিকে ৩৭ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশেষ করে নাইজেরিয়ার বাজারে টেকনো, অপো ও আইটেলের মতো ব্র্যান্ডগুলো ১০০ ডলারের কম দামে ৫জি ফোন এনে প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করেছে। পাশাপাশি ২০০-৫৯৯ ডলারের অংশেও চাহিদা যথেষ্ট বেড়েছে, যা মোট বাজারের ৫৬ শতাংশ দখল করে আছে।
এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে অঞ্চলটির স্মার্টফোনের বিক্রিতে ২৬ শতাংশ বাজার হিস্যা নিয়ে ট্রানসিশন গ্রুপ শীর্ষস্থান দখল করেছে। তাদের টেকনো, ইনফিনিক্স ও আইটেলব্র্যান্ডগুলোর শক্তিশালী বিতরণ ব্যবস্থা এবং সাশ্রয়ী, ফিচার-সমৃদ্ধ ডিভাইস বাজারের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় স্যামসাংয়ের বিক্রি বেড়েছে ১ শতাংশ। কোম্পানিটির এ-সিরিজের ধারাবাহিক সাফল্য, বিস্তৃত খুচরা বিক্রয় নেটওয়ার্ক ও কার্যকর বিপণন কৌশল তাদের অবস্থান ধরে রাখতে সাহায্য করেছে।
শাওমির বিক্রি বেড়েছে ৯ শতাংশ। তবে টেকনো, স্যামসাং ও অনরের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে কোম্পানিটি কিছুটা রক্ষণশীল নীতি অবলম্বন করছে। অন্যদিকে অ্যাপলের বিক্রি বেড়েছে ২৮ শতাংশ। আইফোন ১৭ মডেল বাজারে আসার অপেক্ষা এবং আইফোন ১৬ই-এর সাফল্যের কারণে কোম্পানিটির স্মার্টফোন বিক্রি বেড়েছে। বিশেষ করে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোয় উচ্চ মূল্যের ফোনের চাহিদা বাড়ায় অ্যাপল ব্যাপকভাবে লাভবান হয়েছে।
The post মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের স্মার্টফোনের বাজার বেড়েছে ৩% appeared first on Techzoom.TV.

0 Comments