স্মার্টফোনে ছবি তোলার অভ্যাস এখন প্রায় সবারই। এসব ছবি সংরক্ষণের জন্য অনেকেই ব্যবহার করেন গুগল ফটোজ। তবে গুগল ব্যবহারকারীদের জন্য যে ১৫ গিগাবাইট (জিবি) বিনা মূল্যের স্টোরেজ দেয়া হয়, তা দ্রুতই পূর্ণ হয়ে যায়। তবে এ স্টোরেজ শুধু গুগল ফটোজ নয়, গুগল ড্রাইভ ও জিমেইলও ব্যবহার করে। ফলে সীমিত জায়গার কারণে হঠাৎ করে নতুন ছবি বা ভিডিও আপলোড করা যায় না। তখন অনেকেরই সামনে আসে বাড়তি জায়গা কেনার বিকল্প। তবে চাইলে কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করে ১ টাকাও খরচ না করে গুগল ফটোজে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জায়গা খালি করা সম্ভব—
ঝাপসা ও অপ্রয়োজনীয় ছবি মুছে ফেলা
গুগল ফটোজ ফোনে তোলা সব ছবি ও ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাকআপ করে রাখে, যদি অবশনটি চালু থাকে। ফলে অনেক ঝাপসা বা অপ্রয়োজনীয় ছবিও জমে যায়। সময়ের সঙ্গে এসব ফাইলই স্টোরেজের বড় অংশ দখল করে নেয়। এ সমস্যা সমাধানে ডেস্কটপ থেকে গুগল ফটোজে গিয়ে বাম পাশে থাকা ‘স্টোরেজ’ অপশনে ক্লিক করলে ডান পাশে ‘রিভিউ অ্যান্ড ডিলিট’ অংশে গিয়ে ‘ব্লারি ফটোজ’ নির্বাচন করলে ঝাপসা ছবিগুলো আলাদা করে দেখা যাবে। প্রতিটি ছবি ভালোভাবে দেখে প্রয়োজনীয়গুলো রেখে বাকি ছবিগুলো ‘মুভ টু ট্র্যাশ’ চাপলেই হয়ে যাবে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ব্যবহারকারীর অজান্তেই এখানে এক-দুই জিবি জায়গা দখল করে থাকে স্ক্রিনশট। সেক্ষেত্রে একইভাবে স্ক্রিনশটস, আনসাপোর্টেড ভিডিওজ এবং আদার অ্যাপস অপশনে গিয়েও অপ্রয়োজনীয় ছবি বা ভিডিও মুছে ফেলা যায়। সব শেষে ‘ট্র্যাশ’ অপশনে গিয়ে ‘এম্পটি ট্র্যাশ’ ক্লিক করলে স্থায়ীভাবে জায়গা খালি হবে। না হলে এসব ফাইল ৬০ দিন পর্যন্ত ট্র্যাশেই থেকে যায়।
ড্রাইভ ও জিমেইল থেকে ফাইল সরানো
গুগলের দেয়া ১৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজ শুধু গুগল ফটোজের জন্য নয়, গুগল ড্রাইভ ও জিমেইলও একই জায়গা ব্যবহার করে। ফলে ড্রাইভে রাখা ফাইল ও জিমেইলে থাকা বড় অ্যাটাচমেন্ট জায়গা দখল করে ফেলে। তাই শুধু ছবি ডিলিট করলেই সমস্যার সমাধান হয় না। স্টোরেজ বাড়াতে হলে ড্রাইভ বা জিমেইলে থাকা বড় ফাইলগুলোও মুছতে হবে। এক্ষেত্রে গুগল ফটোজের ‘স্টোরেজ’ অপশনে গিয়ে ‘ক্লিন আপ জিমেইল অ্যান্ড ড্রাইভ’ নির্বাচন করতে হবে। এখানে বড় অ্যাটাচমেন্টসহ ই-মেইল বা অপ্রয়োজনীয় ড্রাইভ ফাইল মুছে ফেললে গুগল ফটোজের জন্য আরো জায়গা ফাঁকা হবে।
স্টোরেজ সেভার মোড চালু
সাধারণভাবে গুগল ফটোজে ছবিগুলো হাই কোয়ালিটিতে সংরক্ষণ হয়, যা অনেক জায়গা দখল করে। ‘স্টোরেজ সেভার’ মোড চালু করলে ছবি ও ভিডিওর মান কিছুটা কমে গেলেও জায়গা বাঁচে অনেকটাই।
স্টোরেজে গিয়ে ‘কনভার্ট এক্সিস্টিং ফটোজ অ্যান্ড ভিডিওজ টু স্টোরেজ সেভার’ অপশনে ক্লিক করে আগের ফাইলগুলোও কমপ্রেস করা যায়। এতে কয়েক জিবি জায়গা ফাঁকা হতে পারে। তবে প্রক্রিয়াটি শেষ হতে কিছুটা সময় লাগবে। কমপ্রেস করার পর নতুন করে তোলা ছবিগুলোকেও ‘স্টোরেজ সেভার’ মোডে ব্যাকআপ করার ব্যবস্থা রাখলে ভবিষ্যতে জায়গা ব্যবহারে সাশ্রয় হবে।
ওপরের উপায়গুলো অনুসরণ করলে গুগল ফটোজ অ্যাপে অনেকটা জায়গা ফিরে পাওয়া সম্ভব। তবে তাতেও যদি কাজ না হয়, তাহলে গুগল ওয়ান পেইড প্ল্যান নিয়ে বা ইমিচ ও এনটের মতো বিকল্প ফটো স্টোরেজ অ্যাপ ব্যবহার করা যায়।
The post বিনা খরচে গুগল ফটোজের স্টোরেজ বাড়ানোর ৩ উপায় appeared first on Techzoom.TV.

0 Comments