ইভ্যালি থেকে গ্রহকদের টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীন

ইভ্যালি থেকে গ্রহকদের টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীন বলে মনে করেন আইনজীবিরা। ইভ্যালি আর চালু না হলে দেশের কোম্পানি আইন ১৯৯৪ অনুযায়ী প্রথমে পাওনা পরিশোধ করা হবে সরকারি ট্যাক্স তার পরে কর্মকর্তাদের বেতন তারপরে শ্রমিকদের পাওনা টাকা ও ক্ষতিপূরণ ,প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সর্ব শেষে গ্রাহকদের পাওনা ।

একের পর এক মামলা হচ্ছে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ নাম সর্বস্ব ইকমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে। গ্রাহকদের পর এবার পণ্য সরবরাহকারী মার্চেন্টরা আইনের দারস্থ হচ্ছেন। তবে টাকা ফেরত পাওয়া কতদুর তার সদ্দুত্তর নেই কারো কাছেই।

ইভ্যালীর কাছে পণ্য বিক্রির টাকা পায় প্রায় ২০ হাজার মার্চেন্ট। পাশাপাশি প্রায় ৪৫ লাখ গ্রাহক, সার্ভিস প্রোভাইডার মিলে মোট পাওনা কয়েক হাজার কোটি টাকা। যার তুলনায় ইভ্যালীর সম্পদ খুবই কম।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কোম্পানিটির সিটি ব্যাংক হিসেবে রয়েছে ৬৭ লাখ টাকা, সাউথইস্ট ব্যাংকে রয়েছে ১ কোটি ৬৭ লাখ, পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে আছে ২৬ কোটি টাকা, এর বাইরে কোম্পানির নামে রয়েছে ২২ টি গাড়ি রয়েছে ৩ টি ওয়ার হাউজে কিছু পণ্য।

ইভ্যালীর বর্তমান বোর্ড প্রধান অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি বলছেন, কোন চাপে নয় তাদের সমাধান হবে আইনের পথে।

ইভ্যালি আর চালু না হলে ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন অনুযায়ী, প্রথম পরিশোধ করা হবে সরকারি ট্যাক্স। তারপর ধাপে ধাপে কোম্পানির কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন, শ্রমিকের মজুরি, ক্ষতিপূরণ, প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিশোধ করতে হবে। ছয় নম্বরে আসবে মার্চেন্ট কিংবা গ্রাহকদের পাওনার বিষয়টি।

ইভ্যালিসহ কথিত ১৫ টি ইকমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মামলা হয়েছে ৪১ টি। যদিও তার সুরাহা কবে জানা নেই কারোরই।

The post ইভ্যালি থেকে গ্রহকদের টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীন appeared first on Techzoom.TV.

Post a Comment

0 Comments