রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবারের গ্রাহক ও সেবাদানকারীদের তথ্য চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
হ্যাকারদের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার উবারের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করা হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
হ্যাকিংয়ে অংশ নেয়া একজনের শেয়ার করা স্ক্রিনশটে দেখা যায়, ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জমা রাখার স্থানে ঢুকে পড়েছেন হ্যাকাররা।
তবে কী পরিমাণ তথ্য চুরি হয়েছে বা হ্যাকাররা কতক্ষণ ওয়েবসাইটের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছিলেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হ্যাকারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা দুজন গবেষক জানিয়েছেন, এক হ্যাকারের বয়স ১৮ বছর। তার আর পরিচয় পাওয়া যায়নি। প্রচারণাই তাদের মূল লক্ষ্য। ব্যবহারীদের তথ্যের কোনো ক্ষতির প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
টুইটারে শেয়ার হওয়া তথ্য ও গবেষকদের মতে, উবারের অভ্যন্তরীণ সার্ভারের নিয়ন্ত্রণে ছিল হ্যাকারদের। হ্যাকারের সঙ্গে অনলাইনে চ্যাট করা গবেষক করবিন লিও বলেন, ওয়েবসাইটে হ্যাকার ঢোকার ব্যাপারটি খারাপ। এটা খুব ভয়ঙ্কর।
ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য, আর্থিক তথ্য ও ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ নানা তথ্য রাখার স্থান হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে জানান তিনি।
নিরাপত্তা সংস্থা জেলিকের গবেষক এবং ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান লিও বলেন, কারো হাতে কোথাও ঢোকার চাবি থাকার অর্থ হলো তিনি সে প্রতিষ্ঠানের সেবা বন্ধ করে দিতে পারেন। কর্মীদের নাম কেটে দিতে পারেন। কোনো ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ কিংবা পাসওয়ার্ডও বদলে দিতে পারেন।
এসব অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার অনলাইনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান উবারের পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সতর্কতার অংশ হিসেবে আমরা যে অভ্যন্তরীণ সফ্টওয়্যার সরঞ্জামগুলো সরিয়ে নিয়েছিলাম সেগুলো আবার অনলাইনে ফিরে আসছে।
উবারের সব ধরনের সেবা এখন চালু আছে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।
বার্তাসংস্থা এএফপির পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি হওয়ার অভিযোগ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তা নিয়ে মন্তব্য করেনি উবার। প্রতিষ্ঠানটি শুধু জানিয়েছে, সংবেদনশীল ব্যবহারকারীর তথ্যে কোনো হ্যাকারের প্রবেশের প্রমাণ নেই।
The post ‘হ্যাকারদের হাতে’ উবার ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য appeared first on Techzoom.TV.

0 Comments