নগদ অর্থ অনুদান প্রদানের বিনিময়ে আমেরিকার চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মালিকানা শেয়ার পেতে চাইছে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার। বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক। আজ বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, দেশটির আভ্যন্তরীণ উৎপাদন পুনরুজ্জীবিত করতে ট্রাম্প সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এমনটা করতে চাইছে মার্কিন প্রশাসন।
এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) বাণিজ্যমন্ত্রী লুটনিক জানিয়েছেন যে, চিপস অ্যাক্টের অধীনে দেওয়া অনুদানের বিনিময়ে মার্কিন সরকার ইনটেলে মালিকানা শেয়ার পেতে চায়। দু’জন সূত্রের বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, লুটনিক তাঁর এই পরিকল্পনা ইনটেলেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছেন না। অনুদানের বিনিময়ে ইনটেলের প্রতিদ্বন্দ্বী চিপ নির্মাতাদের কাছেও শেয়ার মালিকানা চাইতে পারে সরকার।
উল্লেখ্য, চিপস এন্ড সায়েন্স অ্যাক্টের অধীনে ইনটেলসহ বেশ কয়েকটি শীর্ষ চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে নগদ অর্থ অনুদান প্রদানের অনুমোদন দিয়ে গেছে দেশটির পূর্ববর্তী জো বাইডেন সরকার। তবে সেখানে অনুদানের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানগুলোতে মালিকানা শেয়ার নেওয়ার কোনো উল্লেখ ছিল না।
চিপস আইনের (অ্যাক্টের) অধীনে ইনটেলকে সরকারি অনুদান দেওয়া এবং বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটির ১০ শতাংশ মালিকানা শেয়ার নেওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যেই প্রযুক্তি বিশ্বে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত না হলেও বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের নেতৃত্বে ইনটেল কর্তাদের সাথে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমেরিকার স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তগুলোতেও বিষয়টি প্রতিফলিত হচ্ছে নিয়মিতই। এপ্রিলের শুরুতে পালটা শুল্ক আরোপের পেছনেও অন্যতম কারণ ছিল আভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানো।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন শীর্ষ দুই চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া ও এএমডি’র সাথেও অভিনব এক চুক্তি করেছে, যেমনটা মার্কিন মুলুকে এর আগে কখনও দেখা হয়নি। চীনের বাজারে এনভিডিয়ার এইচ২০ এবং এএমডি’র এমআই৩০৮ এআই চিপ দুটি পুনরায় রপ্তানির অনুমতি দেয় মার্কিন সরকার। তবে এর বিনিময়ে এই চিপ দুটি চীনে রপ্তানি করে প্রাপ্ত আয়ের ১৫ শতাংশ সরকারকে প্রদান করতে হবে এনভিডিয়া ও এএমডি-কে। এই শর্তেই সরকার প্রতিষ্ঠান দুটির সাথে চুক্তি সম্পাদন করেছে।
ব্যবসায়িক বিষয়ে মার্কিন সরকারের এমন হস্তক্ষেপে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সমালোচকরা বলছেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন সব পদক্ষেপ নতুন ধরনের কর্পোরেট ঝুঁকি তৈরি করছে এবং সরকারের নেওয়া ভুল পদক্ষেপের কারণে জনগণের করের অর্থ ঝুঁকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
The post অনুদানের বিনিময়ে ইনটেলে মালিকানা শেয়ার চাইছে ট্রাম্প appeared first on Techzoom.TV.

0 Comments