বিক্রির গতি কমে যাওয়ায় নিজেদের সর্বশেষ স্মার্টফোন মডেল ‘আইফোন এয়ার’-এর উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটি সরবরাহ চেইনের সঙ্গে যুক্ত অংশীদারদের এরই মধ্যে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিক্কেই এশিয়া।
পুরো আইফোন ১৭ সিরিজের উৎপাদন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে আট কোটি থেকে নয় কোটি ইউনিটের মধ্যে। তবে আইফোন এয়ারের উৎপাদন প্রায় শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে। অ্যাপলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, আগামী নভেম্বর থেকেই এ মডেলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হবে।
আইফোন এয়ার হলো অ্যাপলের সর্বপ্রথম ‘আলট্রা স্লিম’ ফোন। অনেক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, এটি ভবিষ্যতের ফোল্ডেবল আইফোন তৈরির ভিত্তি হতে পারে। তবে তুলনামূলক দুর্বল ব্যাটারি ও একক ক্যামেরার কারণে অনেক ব্যবহারকারী ফোনটি কিনতে আগ্রহ হারাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
যদিও প্রযুক্তি পর্যালোচক অ্যালিসন জনসন বলেছেন, আইফোন এয়ার ব্যবহার করে তার অভিজ্ঞতা অনেকটা স্যামসাং এস২৫ এজেএর মতো। এটি দেখতে পাতলা হলেও মূলত ওজন কম হওয়ায় ব্যবহার করে স্বস্তি পাওয়া যায়।
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, আইফোন এয়ার মডেলটি আইফোন ১৭ সিরিজের মোট উৎপাদনের ১০-১৫ শতাংশ জুড়ে থাকার কথা ছিল। কিন্তু বাজারের প্রতিক্রিয়া ও বিক্রির গতি কমে যাওয়ায় অ্যাপল এখন এ অনুপাত উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনছে। একই সঙ্গে কোম্পানিটি বেজ মডেল আইফোন ১৭-এর উৎপাদন ৫০ লাখ ইউনিট বাড়িয়েছে। প্রো ও প্রো ম্যাক্স সংস্করণের উৎপাদনও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাজারে আইফোন ১৭ সিরিজ উদ্বোধনের প্রথম ১০ দিনে আইফোন ১৬ সিরিজের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে ১৪ শতাংশ। তবে আইফোন এয়ারের বিক্রি তুলনামূলকভাবে দুর্বল। এটি বিক্রির দিক থেকে আইফোন ১৬ প্লাসের অবস্থানে রয়েছে, যা আগের প্রজন্মের সবচেয়ে কম বিক্রি হওয়া মডেলগুলোর একটি ছিল।
আইফোনের প্লাস মডেলকে বিদায় দিয়ে আনা হয়েছিল আইফোন এয়ার। এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পাতলা আইফোন বলে দাবি করা হয়, যার পুরুত্ব মাত্র ৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার এবং ওজন ১৫৬ গ্রাম।
The post বিক্রি কমায় আইফোন এয়ারের উৎপাদন কমাচ্ছে অ্যাপল appeared first on Techzoom.TV.

0 Comments