প্রযুক্তি বিশ্বে বড় ধরনের চমক নিয়ে এলো মাইক্রোসফট। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর, টেক জায়ান্টটি তাদের বহুল আলোচিত ডুয়াল-স্ক্রিন ডিভাইস সারফেস নিও ২ (Surface Neo 2) উন্মোচন করেছে। ২০১৯ সালে প্রথম সারফেস নিও-এর প্রোটোটাইপ প্রদর্শনের পর প্রকল্পটি প্রায় বাতিল হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হলেও, মাইক্রোসফট আজ এক বিশেষ ইভেন্টে এর সম্পূর্ণ নতুন এবং উন্নত সংস্করণটি معرفی করেছে, যা মোবাইল প্রোডাক্টিভিটির ধারণাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে প্রস্তুত।
ডিজাইন ও ডিসপ্লে: ভবিষ্যতের ছোঁয়া
সারফেস নিও ২ তার পূর্বসূরির মূল ধারণাটিই ধরে রেখেছে: দুটি পৃথক ডিসপ্লে, যা একটি বিশেষ কব্জা (Hinge) দ্বারা সংযুক্ত। নতুন এই মডেলে রয়েছে দুটি ৯.৫ ইঞ্চির পিক্সেলসেন্স (PixelSense) ডিসপ্লে, যা আগের চেয়ে অনেক পাতলা বেজেল দ্বারা আবৃত। মাইক্রোসফটের নতুন ‘জিরো-গ্যাপ’ ৩ডি কব্জার (3D Hinge) কল্যাণে ডিভাইসটি ৩৬০-ডিগ্রি ভাঁজ করা যায় এবং দুটি স্ক্রিনের মাঝখানের ব্যবধান প্রায় অদৃশ্য, যা একটি একক, বড় ডিসপ্লে হিসেবে ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও মসৃণ করে।
পারফরম্যান্স ও সফটওয়্যার: নতুন যুগের সূচনা
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে এর সফটওয়্যারে। সারফেস নিও ২ চলবে “উইন্ডোজ ১১ প্রো (ডুয়াল-স্ক্রিন এডিশন)”-এ, যা বিশেষভাবে এই ধরনের ফর্ম ফ্যাক্টরের জন্য অপটিমাইজ করা হয়েছে। মাইক্রোসফট একে “স্প্যান মোড” (Span Mode) বলছে, যেখানে একটি অ্যাপ দুটি স্ক্রিনজুড়ে চলতে পারে, অথবা দুটি ভিন্ন অ্যাপ পাশাপাশি চলতে পারে।
ডিভাইসটির ভেতরে রয়েছে ইন্টেলের সর্বশেষ কোর আল্ট্রা ৭ (Core Ultra 7) প্রসেসর, ১৬ জিবি র্যাম এবং ১ টেরাবাইট পর্যন্ত এনভিএমই (NVMe) এসএসডি স্টোরেজ। এটি নিশ্চিত করে যে মাল্টিটাস্কিং বা ভারী অ্যাপ্লিকেশন চালানোর ক্ষেত্রে পারফরম্যান্সের কোনো কমতি হবে না।
মাইক্রোসফটের সিইও সাত্যা নাদেলা এই উন্মোচন অনুষ্ঠানে বলেন, “সারফেস নিও ২ কেবল একটি নতুন ল্যাপটপ নয়; এটি একটি নতুন কম্পিউটিং অভিজ্ঞতা। আমরা বিশ্বাস করি, এই ডুয়াল-স্ক্রিন ডিভাইসটি পেশাদার এবং সৃজনশীল ব্যক্তিদের কাজ করার পদ্ধতিকে সম্পূর্ণ বদলে দেবে, ঠিক যেমনটি প্রথম সারফেস প্রো করেছিল।”
প্রোডাক্টিভিটি ও অ্যাকসেসরিজ
ডিভাইসটি প্রোডাক্টিভিটির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এতে রয়েছে নতুন সারফেস স্লিম পেন ৩-এর জন্য ম্যাগনেটিক চার্জিং সাপোর্ট। এর সাথে একটি ঐচ্ছিক ‘ফোলিও কীবোর্ড’ রয়েছে, যা مغناطিসিকভাবে ডিভাইসের একটি স্ক্রিনের ওপর বসে যায়। যখন কীবোর্ডটি সংযুক্ত করা হয়, তখন স্ক্রিনের বাকি অংশটি একটি ডাইনামিক টাচবার বা “ওয়ান্ডারবার” (WonderBar)-এ পরিণত হয়, যা অ্যাপ-ভিত্তিক শর্টকাট এবং কন্ট্রোল প্রদর্শন করে।
The post Microsoft Surface Neo 2 উন্মোচিত: দ্বৈত স্ক্রিনে নতুন প্রজন্মের প্রোডাক্টিভিটি appeared first on Techzoom.TV.

0 Comments