অ্যাপলের আইফোন এয়ার এবং স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস২৫ এজের মধ্যে ব্যাটারি লাইফ টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেস্টিং চ্যানেল ফোনবাফ এই পরীক্ষাটি পরিচালনা করে। দুইটি আল্ট্রা-থিন ফ্ল্যাগশিপ ফোনের ব্যাটারি পারফরম্যান্স যাচাই করাই ছিল এই টেস্টের মূল লক্ষ্য।
টেস্টের বিস্তারিত ফলাফল
গ্যালাক্সি এস২৫ এজ মাত্র এক মিনিটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। স্যামসাং ফোনটি টেস্টে টিকেছে ২৫ ঘন্টা ৫৯ মিনিট। অ্যাপলের আইফোন এয়ার ব্যাটারি শেষ হয়েছে ২৫ ঘন্টা ৫৮ মিনিটে। টেস্টে ১৬ ঘন্টার স্ট্যান্ডবাই সময়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ফোনবাফের রোবটিক টেস্টিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে এই পরীক্ষায়। প্রতিটি ফোন একই কাজ করেছে একই সময়ে। কল, মেসেজিং, ইমেইল, ওয়েব ব্রাউজিং- সবকিছুই ছিল টেস্টের অংশ। ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, গেমিং এবং জিপিএস ব্যবহারও করা হয়েছে।
দুই ফোনের স্পেসিফিকেশন তুলনা
আইফোন এয়ারের বডি পুরুত্ব ৫.৬৫ মিলিমিটার। গ্যালাক্সি এস২৫ এজের পুরুত্ব ৫.৮ মিলিমিটার। স্যামসাং ফোনের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৩,৯০০ এমএএইচ। অ্যাপল ফোনের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৩,১৪৯ এমএএইচ।
গ্যালাক্সি এস২৫ এজের ডিসপ্লে ৬.৭ ইঞ্চির। আইফোন এয়ারের ডিসপ্লে ৬.৫ ইঞ্চির। স্যামসাং ফোনে রয়েছে ডুয়াল ক্যামেরা এবং স্টেরিও স্পিকার। অ্যাপল ফোনে রয়েছে সিঙ্গেল ক্যামেরা সেটআপ।
ব্যাটারি টেস্টের গুরুত্ব
এই টেস্ট প্রমাণ করে আল্ট্রা-থিন ফ্ল্যাগশিপ ফোনের ব্যাটারি লাইফ এখন অনেক উন্নত। সাধারণ ব্যবহারকারীরা যে কোনো ফোন নির্বাচন করতে পারেন। দুই ফোনই পুরো দিনের ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট।
টেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্যালাক্সি এস২৫ এজ স্ট্যান্ডবাই মোডে বেশি এফিশিয়েন্ট। কিন্তু রিসোর্স ইনটেনসিভ অ্যাপ使用时 আইফোন এয়ার পারফরম্যান্সে সমান হয়ে যায়। গেমিং এবং ক্যামেরা ব্যবহারের সময় এই সমতা দেখা গেছে।
বাজারের অবস্থান
বর্তমানে আল্ট্রা-থিন ফ্ল্যাগশিপ সেগমেন্টে এই দুইটি ফোনই প্রধান অপশন। ভোক্তাদের কাছে এখন আর ব্যাটারি নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাটারি এফিশিয়েন্সি অনেক করেছে।
আইফোন এয়ার এবং গ্যালাক্সি এস২৫ এজ উভয় ফোনই ব্যাটারি লাইফের দিক থেকে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। এক মিনিটের ব্যবধান প্রমাণ করে যে আল্ট্রা-থিন ডিজাইনেও এখন দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ সম্ভব।
The post iPhone Air বনাম Galaxy S25 Edge: ব্যাটারি টেস্টে কে এগিয়ে? appeared first on Techzoom.TV.

0 Comments